[আরো] [আবারো] [তবুও] [যখন] টুনটুনি ও [আরো] [আবারো] [তবুও] [তখন] ছোটাচ্চু – [Aro, Abaro, Tobuo, Jokon, Tokon] Tuntuni O Chotachhu – মুহম্মদ জাফর ইকবাল – Zafar Iqbal – এই বইটি ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করুন এখনি! – Download free PDF all books from our PDF Library
মহান আল্লাহ আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন –
পড়ো তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। (সূরা আলাকঃ০১)
তাই আমরা আমাদের এই ছোট উদ্যোগটি নিয়েছি সকল প্রকার বই সমূহকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। জানি আমরা দুর্বল, তবে আল্লাহ তো সর্বশক্তিমান! তিনি চাইলে কি না পারেন। তার উপর ভরসা করেই এই ওয়েবসাইট চলতে থাকবে ইনশাআল্লাহ! আপনাদের যদি কোনো ইবুক দরকার হয়, কোনো বইয়ের পিডিএফ দরকার হয় যা অনলাইনে এখনো হয়তোবা আসেনি, আমরা ইনশাআল্লাহ সেই বইয়ের পিডিএফ করে যত দ্রুত সম্ভব আপলোড দিব। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন!
2020 New PDF Books Download Free Bangla Library Online Database, EPUB, Mobi, Etc. Formats too be added in future!
উপরে উল্লেখিত বইটির ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করুন নিচের ডাইরেক্ট লিঙ্ক থেকে। যদি কোনো সমস্যা হয়, কমেন্ট করে জানাবেন।
লিঙ্কে ক্লিক করার পর ডাইরেক্ট ডাউনলোড হবে ইনশাআল্লাহ্। ধন্যবাদ!
টুনটুনি ও ছোটাচ্চু – Tuntuni O Chotachhu – বইটির এক ঝলকঃ
“বাসাটা তিনতলা । কিংবা কে জানে, চারতলাও হতে পারে । আবার তিন কিংবা চারতলা না হয়ে সাড়ে তিনতলাও হতে পারে । এই বাসায় যারা থাকে, তাদের জন্য অসম্ভব কিছু না । এই বাসায় কারা থাকে, সেটা বলে দিতে পারলে মনে হর ভালো হতো, কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না । তা ছাড়া বলে লাভ কী, সবার নাম, বয়স, কে কী করে-_এত সব কি আর মনে রাখা সম্ভবঃ শুধু একটা জিনিস বলে দেওয়া যায়, এই বাসার সবাই একই পরিবারের মানুষ । সংখ্যাটা শুধু আন্দাজ করা যেতে পারে, ত্রিশ থেকে চলিশ জন হবে-_কিংবা কে জানে, বেশিও হতে পারে । বাসাভর্তি বাচচা কিলবিল করছে । এতগুলো বাচ্চার হিসাব রাখা কঠিন, তাদের বাবা-মায়েরাই হিসাব রাখতে পারে না।
বাবা-মায়েরা যে হিসাব রাখতে পারে না ভার অবশ্য একটা কারণ আছে । কারণটা হচ্ছে, তারা কে কখন কোথায় থাকে তার ঠিক নেই । হয়তো বাসায় খেতে বসেছে, ডাইনিং টেবিলে খাবারটা কারও পছন্দ হলো না, সাথে সাথে নাক কুঁচকে থালাট? বগলে নিয়ে ওপরে কিংবা পাশের ফ্ল্যাটে চলে যাবে । হয়তো স্কুলে যাওয়ার সময় হয়েছে স্কুলের পোশাক খুঁজে পাচ্ছে না, তখন তারা অন্যজনের ফ্ল্যাটে গিয়ে অন্য কারও পোশাক পরে ফেলবে । কাছাকাছি বয়স স্মস্যা হয় না । বড়জোর একটু ঢলঢলে কিংবা একটু টাইট হয়, সেটা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই । রাতে ঘুমানোর সময় মায়েরা যদি দেখে বাচ্চা বিছানায় নেই, তাহলেও ভারা দুশ্চিন্তা করে না। আবার যদি দেখে দুই-চারটা বাচ্চা বেশি, তাহলেও অবাক হয় না।
এই পরিবারের বাচ্চাকাচ্চা ছাড়া মাঝবয়সী মানুষ আছেন, আবার বুড়ো মানুষও আছেন । বুড়ো মানুষ অবশ মাত্র একজন, তার নাঘ জোবেদা খানম | জোবেদা খানমকে অবশ্য তার না দিয়ে ডাকার কেউ নেই, তাই…
আরো টুনটুনি ও আরো ছোটাচ্চু – Aro Tuntuni O Aro Chotachhu – বইটির এক ঝলকঃ
“টুনিদের স্কুলের সবচেরে ভয়ম্কর ম্যাডামের লাম মারদানা ম্যাডাম । মহিলাদের খৌফ থাকার কথা না কিন্তু টুনিদের স্কুলে বলাবলি করা হয় যে মারদানা ম্যাডামের গৌফ আছে। কথাটা শুনে অনেকেই ভুরু ঝুঁচকাতে পারে, একজন মানুষের গৌফ আছে কি নেই সেটা নিয়ে বলাবলি করার কী আছে? তার মুখের দিকে তাকালেই তো সেটা দেখা যাবে । কিন্ত আসলে তার মুখের দিকে তাকালে সেটা বোঝা ঘায় না, তার কারণ যারদানা ম্যাডাষের গায়ের রং কুচকুচে কালো এবং তার গোঁফ যদি আসলেই থেকে থাকে সেটার রংও কুচকুচে কালো, তাই সেটা আলাদা করে দেখা যায় না । খুব কাছে গেলে অবশ্যই সেটা দেখা যাবে, কিন্তু কার ঘাড়ে দুইটা মাথা আছে যে মারদানা ম্যাডামের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করবে তার গোফ আছে কি নেই! যে সমস্ত ছেলেমেয়েদেরকে মারদানা ম্যাডাম কাচা টিবিয়ে খেয়েছেন (ঠিক আক্ষরিক অর্থে না, ভয়ঙ্কর শান্তি দেওয়ার অর্থে) তারা সবাই এক বাকের স্বীকার করেছে যে ঘারদানা ম্যাডামের নাকের নিচে ঝাঁটার মতো কালো গৌফ । তারা আরো বলেছে যে তার চোখের মাঝে মোটা হয়ে থাকা লাল লাল রক্তনালি-_-সেখলো নাকি দপদপ করে কাপে এবং তার মুখে নাকি মাংসাশি প্রাণীর মতো গন্ধ । যাই হোক এর সবগুলো পরীক্ষা করে দেখা সন্ভব না, কাজেই কেউ কখনো এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করার চেষ্টা করেনি । টুনিদের ক্লাশ মনিটর বলেছে মানুষ যখন বুড়ো হয় তখন নাকি সবার আগে গৌফ পাকতে শুরু করে, কালেই যদি সত্যি সত্যি মারদানা স্যাড়ামের গোঁফ থেকে থাকে তাহলে আর কয়েক বছরের ভেতর সেগুলো পেকে সাদা হয়ে যাবে, তখন তার কুচকুচে কালো রঞ্ডের মাঝে সাদা গৌফ খুব স্পষ্টভাবে দেখা যাবে ॥ তখন সব বিতর্ক বন্ধ হয়ে যাবে।…
আবারো টুনটুনি ও আবারো ছোটাচ্চু – Abaro Tuntuni O Abaro Chotachhu – বইটির এক ঝলকঃ
“বড় চাচা এদিক-সেদিক তাকিয়ে জিক্ডেস করলেন, “আজকের পেপারটা কই?”
বড় চাচার প্রশ্নের কেউ উত্তর দিল না, কেউ উত্তর দিবে বড় চাচা সেটা অবশ্যি আশাও করেননি । বড় চাচা নরম্গ টাইপের মানুষ, হাসি-খুশি থাকেন, গল! উচিয়ে কথা বলেন না, চিৎকার করেন না, তাই কেউ তায় কথার উত্তর দেয় না! বড় চাচা আবার জিজ্ঞেস করলেন, “দেখেছিস কেউ?”
বাচ্চারা মেঝেতে উবু হয়ে কী একটা খেলা খেলছিল, দেখে খুবই নিরীহ খেলা মনে হলেও হঠাৎ হঠাৎ সবাই মিলে মারামারি শুরু করে, দেখে মনে হয় পারলে বুঝি একজন আয়েকজনের চোখ তুলে লেবে । তারপর আবার শান্ত হয়ে আঙুল দিয়ে কিছু একট? গুনতে থাকে । তারপর আবার মারামারি শুরু করে । ভয়ঙ্কর একটা মারামারি শেষ করে একজন বড় চাচার প্রশ্নের উত্তর দিল, বলল, “না বড় মামা ।”
বড় চাচাকে সবাই বড় চাচা বলে না, অনেকে বড় মামা বলে । কেউ কেউ বড় ফুপা ভাকে ৷ তার মানে এই নয় যে সবাই সম্পর্ক ঠিক করে ডাকাডাকি ফরে__এই বাসায় ঘার থাকে যা৷ ইচ্ছা সেটা ডাকে । বড় চাচার ছোট মেয়েটা তাকে মাঝে মাঝে বড় আবহ ডেকে ফেলে
বড় চাচা বললেন, “এই শান্ত, তোকে বলেছি না সকালবেলা পেপারটা তুলে এনে ভিতরে রাখবিঠ”
শান্ত সতর্ক দৃষ্টিতে সবার দিকে তাকিয়ে আঙুল দিযে কিছু একটা হিসাব করতে করতে বলল, “বলেছ।”
“তাহলে?”
“তাহলে কী?”
“তাহলে ভুলে আনিস না কেনঃ”…
তবুও টুনটুনি তবুও ছোটাচ্চু – Tobuo Tuntuni Tobuo Chotachhu – বইটির এক ঝলকঃ
“দাদি কিংবা নানি) বসে টেলিভিশনে একটা বাংলা সিরিয়াল দেখছেন, কাহিনি খুব জমে উঠেছে, শাশুড়ি বউকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে, ছেলে প্রতিবাদ না করে মুখ বন্ধ করে বসে আছে। সেই দৃশ্য দেখে দাদি অপদার্থ ছেলেটির উপর খুবই ক্নেগে উঠছেন। কিন্তু তাদের কথা স্পট শুনতে পাচ্ছেন না কারণ খুব কাছেই বান্চারা হুটোপুটি করে খেলতে খেলতে চিৎকার করছে।
দাদি একটা ভুংকার দিয়ে বললেন, “এই। তোরা থামবি? তোদের যন্ত্রণায় এক শ্রিমিট টেলিতিশদটাও ঠিক করে দেখতে পারি না।”
পাশেই বসে ঝুমু খালা দাদির পায়ে গরম তেল মাখিয়ে দিচ্ছিল। গরম তেলে কী দিয়েছে কে জ্ঞানে, দাদির শরীর থেকে শিক কাবাবের মতো একধরনের গন্ধ বের হচ্ছে। দাদির হুংকারের পর সেও একটা হুংকার দিল, “তোমরা কি চিল্লাফাল্লা থামাবা নাকি জরিনি বেওয়ার পানি-পড়া নিয়া আসুমঃ”
বাচ্চারা চিৎকার থামিয়ে ঝুমু খালার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাল। জরিনি বেওয়ার নাম তারা আগেও ঝুমু খালার কাছে শুনেছে, তার নালা রকম ব্রহস্যজনক কাজকর্মের কথাও শুনেছে, পানি-পড়া দিয়ে কী হয় সেটা এখনো শুনেনি, তাই একজন জিজ্দেস করল, “ফ্কারিনি বেওয়ার পানি-পড়া দিয়ে কী হবে?”
ঝুমু খালা বলল, “দ্বালি তোমাদের শরীরে একটা ছিটা দিমু, ব্যস, কথা বন্ধ। নোচিল্লানো ফাল্লা।”
“সত্যি না তো মিথ্যা বাকি? আমাগো গ্রামে লবির মিয়া হইল ডাকাইতের বাচ্চা ডাকাইত। গ্রার্ডার কেসের আসামি, যখন কোর্টে মামলা উঠছে তখন হে জরিনি বেওয়ার এক শিশি পানি-পড়া নিয়া পেছে। জজ সাহেব ঠিক যখন য়ায় দিব তখন জজ সাহেবের দিকে পাপি-পড়া ছিটার়ে দিছে! ব্যস, জজ সাহেবের জবান বন্ধ । দবির মিনা বেকসুর খালাস।”
সবচেয়ে ছোটজন রিনরিনে গলায় জিজ্েস ঝরল, “সত্যি?…
যখন টুনটুনি তখন ছোটাচ্চু – Jokon Tuntuni Tokon Chotachhu – বইটির এক ঝলকঃ
“দাদি (কিংবা নানি) বসে বসে টেলিভিশন দেখছেন তখন তার টেলিফোনটা বাজল। প্রথম দুটো রিং দাদি খেয়াল করলেন না, তৃতীয় রিং শুনে ফোনটা খুঁজতে গুরু করলেন, খুঁজে খুজে বের করে টেলিফোনটা ধরতে ধরতে লাইন কেটে গেল । এটি অবশ্যি নতুন কিন্তু না, দাদি (কিংবা লানি) কখনোই একবারে ফোন ধরতে পারেন না। কমপক্ষে দুইবার চেষ্টা করতে হয় । টেলিফোনটা ধরার জন্য কোন বোতামটা টিপতে হয় সেটাও তার মনে থাকে লা তাই বেশির ভাগ সময় ফোন ধরতে গিয়ে লাইন কেটে দেন।
ফোনটা খুঁজে পেয়ে তার জমিনের দিকে ভাকালেন, কে তাকে ফোন করার চেরা করেছে পড়ার চেষ্টা করলেন। দাদি ফ্রিনটা স্পট দেখতে পেলেন না। বেলায় সেটা উল্টো । দালি সেটাকে যতদূর সম্ভব দূরে মিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। এবারেও সেভাবে চেষ্টা করতে লাগলেন তখন টুম্পা বলল, “নানি, ভোমার এত কষ্ট করতে হবে লা। আমাকে দাও, আহি পড়ে দিই ।”
নামি তখন টেলিফোনটা টুম্পার হাতে দিয়ে বললেন, “হ্যা, লেখ দেখি কে টেলিফোন করেছে। মানুষের কোনো ধৈর্য নেই, ফোনটা ধরার আগেই লাইনটা কেটে দেয়)”
টুম্পা বলল, “না নানি । তুমি ফোন ধরতে এত দেরি করো যে লাইন কেটে যায়।”
পহযেছে___জামাকে শিখতে হরে না। কে ফোন করেছে দেখ।”
টুম্পা খানিকক্ষণ চেষ্টা করে বলল, “ঠিক বোঝা যাচ্ছে না নানি । মনে হয় লেখা দুষ্টু ছেলের মা__”…
প্রতিদিন নতুন নতুন বই আপলোড দেয়া হচ্ছে। আপনি যদি বই পিপাসু হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি ইসলামিক কিংবা অন্যান্য বই পড়ার আগ্রহ থাকে, তবে আমাদের ইমেইল লিস্টে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, বই আপনার কাছে পৌছে কড়া নাড়বে। শেয়ার করুন আমাদের সাইটটি সবার সাথে! প্রতিদিন একবার হলেও ঘুরে যাবেন। এর বেশি কিছু চাইনা আপনাদের কাছে! Free PDF Boi Dot Com
আমাদের সাইটের নাম মনে রাখতে চাইলে সেভ করে রাখুন, কিংবা বুকমার্ক করে রাখুন। বেশি বেশি ভিজিট করুন, বন্ধুদের জানিয়ে দিন।
বই পড়ুন ~ জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিন!